প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের সাথে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের ‘প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট’ এড়াতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প! আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট তথা আগামী ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্পের সরকারি সমাজমাধ্যম রোববার এবিসি নিউজের কড়া সমালোচনা করায় এমনই ‘বার্তা’ স্পষ্ট রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের কাছে। ঘটনাচক্রে, আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটের অন্যতম আয়োজক এবিসি নিউজ।

তবে বিতর্কের সময় এক প্রার্থীর কথার পর আরেক প্রার্থীর কথা বলার সময় অপরজনের মাইক্রোফোন বন্ধ রাখা হবে কিনা তা নিয়ে তর্ক চলছে ডেমোক্রোটিক ও রিপাবলিকান শিবিরে। ডেমোক্রোটিক প্রচার শিবির চায়, বিতর্ক চলার পুরোটা সময় দুই প্রার্থীর মাইক্রোফোনই চালু থাকুক। আর ট্রাম্প শিবির মাইক্রোফোন বন্ধ রাখার পক্ষে।

নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট শিবির। প্রতিটি সমাবেশে গিয়ে একে অন্যের সমালোচনা করছেন নেতারা। ছুড়ে দিচ্ছেন নানা চ্যালেঞ্জ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কামালা হ্যারিসের প্রার্থিতা এরই মধ্যে যে আলোড়ন তৈরি করেছে, তাতে রিপাবলিকান প্রার্তী ডোনাল্ড ট্রাম্প অনেকটাই ম্লান হয়ে পড়েছেন। গণমাধ্যমের নজর ধরে রাখতেও রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর তাই প্রতিদ্বন্দ্বী কামালার সঙ্গে ১০ই সেপ্টেম্বরের প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক এড়াতে পারেন ট্রাম্প, এমন খবরও ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন গনমাধ্যমে।

ট্রাম্প নিজের সামাজিক মাধ্যমে এবিসি নিউজের কড়া সমালোচনা করে বলেন, কেনও তিনি এবিসি নিউজে কামালার সঙ্গে বিতর্কে অংশ নেবেন? এবিসির সঞ্চালক ও কর্মীরা তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে বলে আগেই ইঙ্গিত দেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বিভিন্ন জনমত জরিপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কামালা হ্যারিস। জরিপে কামালা এগিয়ে থাকায় তার সঙ্গে বিতর্ক এড়াতে চাইছেন ট্রাম্প, এমনটাই মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।